সঁইয়া রাত কো আনা রে
বিহারের বাঢ় শহরে গিয়েছিলুম ইন্সপেকশনে ।
দোতলায় বসে আমি আর আমার অধস্তন অফিসার কাগজপত্র ওলটাচ্ছি, পরীক্ষা করছি, রাস্তার ওপারে সামনের বাড়ির বারান্দায় একজন যুবতী সেজেগুজে নাচা আরম্ভ করে দিল, “অভি না যাও চোদ কর কি দিল অভি ভরা নহিঁ” ।
সামনের দরোজাটা বন্ধ করে দিতে বললেও কারোর কানে গেল না কথাটা । নিজেই বন্ধ করলুম উঠে । শুনতে পেলুম যুবতীটি গাইছে, “সঁইয়া রাত কো আনা রে, মওজ করকে যানা রে”।
লাঞ্চের সময়ে নিচে নেমে একটা ছেঁদো হোটেলে ভাত-ডাল-আলুভাজা খাচ্ছি যখন, পিওনটা এসে ফিসফিস করে বলল, “স্যার ওই রণ্ডিটাকে শাখা অধিকর্তা আগে থেকে শিখিয়ে দিয়েছিল যে আপনারা ইন্সপেকশানে আসছেন, টোপ ফেলে আপনাদের মন অন্য দিকে ঘোরাতে চেয়েছে, অনেক ঘাপলা আছে শাখায়, চাষিরা এলে তাড়িয়ে দেয়।”
যে হোটেলে উঠেছিলুম, সন্ধ্যাবেলা সেখানেও কয়েকটা বেশ্যাকে নিয়ে হাজির ।
বললুম যে “ওই রণ্ডিদের সঙ্গে শুয়েও আমি যা রিপোর্ট করার তাই করব”, তখন শাখা অধিকর্তা হাঁটু গেড়ে হাতজোড় করে কাঁদতে আরম্ভ করল । আত্মম্ভরিতা উপভোগেরও কষ্টের দিক আছে ।
অধস্তন অফিসার ছিল বিহারি । বলল, স্যার, আমাকে তো সুযোগ দিতে পারতেন, ওদের মধ্যে একজন কিন্তু বেশ টইয়াল ছিল ।